Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124

নারী শক্তি ও পুরুষ শক্তি মিলে শক্তির পূর্ণ রূপ প্রকাশ পায়। এই দুই শক্তিরই ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। সৃষ্টির অস্তিত্বের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় নারী শক্তি, অন্যদিকে কাজের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় পুরুষ শক্তি। রসায়ন বিজ্ঞানের মাধ্যমে এই বিষয়টা আমরা বুঝতে পারি, পুরুষ শক্তি হচ্ছে দাতা, নারীশক্তি হচ্ছে গ্রহীতা। অর্থাৎ পুরুষের স্বরূপ হচ্ছে দেয়া, আর নারীর স্বরূপ হচ্ছে নেয়া। এই নেয়া দেয়ার মধ্যদিয়ে নারী-পুরুষের মিলন ঘটে, সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা পায়। এই বিষয়ে আরও অনেক গভীরে আলোচনা সম্ভব। এই নারী-পুরুষ শক্তির ধর্মে যদি পরিবর্তন হয় তাহলে বস্তুর রুপেও পরিবর্তন চলে আসে।
নারী শরীরে সব সময় নারী শক্তির উপস্থিতি থাকবে সেটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি একজন পুরুষ মানেই যে পুরুষ শক্তি ধারণ করে তাও অনুমান করা ঠিক হবেনা।সহজ করার জন্য জন্মের পরপর আমরা নির্ধারণ করে দেই কে পুরুষ আর কে নারী, অনেকটা লিঙ্গের উপর ভিত্তি করেই। কিন্তু একজন মানুষের ভেতরের শক্তি কেমন সে অনুযায়ী ধীরেধীরে তার স্বরুপ প্রকাশ পায়। এটা যেমন ব্যাক্তির কাঠামোগত অস্তিত্বে ধরা পড়ে, তেমনি পাওয়া যায় ব্যাক্তির সামগ্রিক উপস্থিতিতে। নারী শরীরে পুরুষ শক্তির আধিক্য থাকতে পারে যেমন, তেমনি পুরুষের শরীরে নারী শক্তির মাত্রা বেশী দেখা দিতে পারে। এই ব্যাপারটাই নিয়ে এলজিবিটি গ্রুপ এতো চিল্লায়। কিন্তু তারা ঠিক বোঝেনা এইসব বোঝার মতো মানসিক ক্ষমতা/সময়/ইচ্ছে সকলের নেই, তাই খামোখা এইসব জটিল বিষয়গুলো নিয়ে সাধারন মানুষদের বিভ্রান্তির পথে না ফেলে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যারা এইসব নিয়ে চিল্লাচ্ছে তারা আসলে একটা অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির নেশায় মত্ত। মানুষের আসলে এতো কিছু বোঝার প্রয়োজন নেই, তারা খুব সহজ প্রথা অনুসরন করতে চায় এবং সেক্ষেত্রে তারা ভালো অপারেট করে। আর কোন সমস্যায় যখন পড়ে, তখন তারা সেটা নিয়ে মাথা ঘামায়। আমাদের গ্রামের একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, তা হলোঃ ” আরা ধরে পারেনা, তাই বারা ধরে টানে।” এই তথাকথিত প্রগতিশীলদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয় এদের নিজেদের জীবনই যেখানে উলট-পালট, কোন আগা মাথা খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যেখানে তারা নিজেরাই ঠিক জানেনা তাদের মোরাল কম্পাসের দিক নিশানা, সেখানে তারা আসছে মানুষদের সহজ জীবনবোধে অহেতুক জটিলতা ঢুকিয়ে দিতে।
আসলে এগুলো আবার আমাদের বুদ্ধিজীবী মহল নিজেরাও প্রসব করেনি, পশ্চিমা সভ্যতা এগুলো প্রসব করেছে আর সেখান থেকে চুরি করে এনে দেশের চেতনায় উচ্চ দরে বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। যত বিক্রি তত ব্যাবসা, রাতারাতি বিখ্যাত বনে যাওয়া আরকি! লোভ কার না হয়?! এজন্যই প্রবাদে আছে, “চোরের মায়ের বড় গলা”।