Physical Address

304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124

Tribal Religion

নারীশক্তিতে পরিচালিত সহজ সাবলীল জীবন

স্বর্গীয় নারীশক্তি (Light feminine energy ) হলো শক্তির সবচেয়ে (refined) স্নিগ্ধ কোমল পরিশীলিত ও পরিমার্জিত রুপ। এই শক্তি high frequency ধারণ করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যে নারী শক্তির এই অস্তিত্ব রয়েছে। আমরা জানি নারী শক্তি ও পুরুষ শক্তির মিলনে শক্তি পূর্ণতা পায়। একজন ব্যাক্তি যখন এই দুই শক্তির মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করতে শেখে তার কথা কাজ ও আচরণেও দেখা যায় ভারসাম্য। Light feminine energy’র সুবিধা হলো এই mode of life হলো সহজ ও সুন্দর। অন্যদিকে dark feminine energy তে জীবন হয়ে যায় সংগ্রামময়, এই শক্তি negative high frequency ধারণ করে। Divine masculine অন্যদিকে low frequency ধারণ করে, Low ও high frequency দুয়ে মিলেই শক্তির পরিপূর্ণ রুপ প্রকাশ পায় আর তাই দুটোই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা দেখি মোটা ও ভারী ভয়েসে পুরুষকে আকর্ষণীয় লাগে অন্যদিকে চিকন ও তীক্ষ্ণ ভয়েসে নারীকে মানায় ভালো। শক্তির কোন নারী-পুরুষ লিঙ্গভেদ নেই, তবে নারী-পুরুষ এই দুই রুপ ধারণ করে শক্তির মেনিফেস্টেশন কিংবা শারীরিক অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। পুরুষ শক্তি যেখানে স্ট্রাকচার, নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য, রক্ষণাবেক্ষণ, সুরক্ষা ও যোগান নিশ্চিত করে, নারী শক্তি অন্যদিকে বিমূর্ত, স্নেহময়ী, মায়াময়, যত্নশীল, সৃষ্টিশীল।এজন্য নারীশক্তির লালন ও পরিচর্চা হয় যে সমাজ ও পরিবারে সে পরিবার ও সমাজের সকলের প্রাত্যহিক জীবন হয়ে ওঠে সহজ ও সাবলীল। যে পরিবার ও সমাজ নারীশক্তির এই রুপকে ভয় করে চলে সে পরিবার ও সমাজে চলে আসে বিপর্যয়।

নারীশক্তিকে শক্তির স্বর্গীয় রুপ ধরা হয়, এ শক্তির রয়েছে নিরাময় গুন। ব্যাক্তি যখন কেবল একটি শক্তিতে পরিচালিত না হয়ে নারী শক্তি ও পুরুষ শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য স্থাপন করে চলে তখন সে হয়ে ওঠে শারীরিক, মানসিক ও আত্নিকভাবে সুস্থ স্বাভাবিক। আর যখন এই দুই শক্তির মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় তখন ব্যাক্তি শারীরিক, মানসিক ও আত্নিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমাদের ধর্মীয় রীতি-নীতি যাকিছু আছে সেসব পালনের মধ্য দিয়ে আমরা মূলত স্বর্গীয় নারিশক্তিতে উন্নীত হই, আমরা যখন পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের সমর্পণ করি তখন আসলে আমরা সেই নারীশক্তিতেই চালিত হই। যখন আমরা সমর্পণের সময় যুক্তি ও প্রতিযুক্তি খুজি, সমর্পণের সময় সন্দেহ পোষণ করি, কারন খুঁজি, ব্যাখ্যা দাড় করাতে চাই তখনই আমরা বুঝতে পারি যে আমরা low frequency তে অপারেট করছি। নারী শক্তির মুল ধারা হলো এই শক্তি receptive, complete submission এর মধ্য দিয়ে মানুষ একমাত্র এই mode এ অপারেট করতে পারে। সেজন্যই হয়তো সব ধর্মে দেখা যায় ব্যাক্তিকে সর্বোচ্চ শক্তির কাছে সমর্পণের আধ্যাতিক অভিজ্ঞতা, যখনই কোন ব্যাক্তি শারীরিক, মানসিক ও আত্নিকভাবে নারীশক্তি ধারণ করে তখনই সে স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা লাভ করে, জীবনের প্রতিটি অভিযাত্রা হয়ে ওঠে স্বর্গীয়। এর বিপরীতে মানুষের প্রতিদিনের জীবন যাপনের অভিজ্ঞতা হয় ভয় ও উদ্বেগে ভরা, স্ট্রাগলিং। এজন্যই সনাতনী ধর্মে নারীশক্তির পূজো হয়, বিভিন্ন দেবীর প্রতিমায় তারা তাদের পুজো নিবেদন করে। যারা সনাতনী ধর্মের তত্ত্বকথা ধরতে পারেনা তারা এই নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে পারে, ব্যাঙ-বিদ্রুপ করতে পারে কারন তাদের capacity ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। যারা ব্যাপারটা বুঝে তারা কখনও সনাতনী ধর্মের রীতি-নীতি নিয়ে আক্রমনাত্নক মন্তব্য করবে না, এমনকি কোন ধর্মীয় রীতি-নীতি নিয়েই প্রশ্ন তুলবে না, বরং যার যে ধর্ম সবদিক বিবেচনা করে গ্রহণযোগ্য মনে হয় সেই ধর্মে নিজেকে সমর্পিত করবে।

ধর্ম ব্যাক্তির নিজের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু উল্টোটা যদি হয় যে ধর্মের প্রয়োজনে ব্যাক্তির তার অস্তিত্ব ধারন করে তাহলে ব্যাক্তি যে ধর্মই পালন করুক না কেনো কিছুতেই তার মানসিক শান্তি মিলবে না তা সে যত কঠোরভাবেই ধর্মীয় রীতি-নীতি ও আচার-আচরণ মেনে চলুক না কেনো। এজন্যই হয়তো পারস্য কবি রুমি বলেছেন, “I looked in temples, churches and mosques, but found the divine within my heart”. যখন কেউ structured religion অনুসরণ করতে চায় তখন কোনভাবেই ধর্মীয় রীতি-নীতি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারার কথা না, ধর্মের বিমূর্ত রুপ যখন কেউ উপলব্ধি করে তখন সব ধরণের ধর্মীয় আচার-আচরন ও রীতি-নীতি ব্যাক্তির মনে প্রশান্তি এনে দেয়। পূজো মন্ডপে ভক্তদের ভক্তিময় নিবেদন, মসজিদে নিবেদিতদের পরম সৃষ্টিকর্তার নিকট সমর্পণ, চার্চে খ্রিটানদের সবিনয় প্রার্থনা, কিংবা সিনাগগে ইহুদীদের সমম্মিলিত নিবেদন কিংবা কোন উপজাতি (Tribe) সম্প্রদায়ের উপাসনা সবই সুন্দর, সবই উপভোগ্য, সবটাতেই মন বিগলিত হয়, আত্না অধিষ্ঠ হয় স্বর্গরাজ্যে।

tamziadmin
tamziadmin
Articles: 75